জাতীয় দল ও আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের ছাড়া অন্যদের জন্য অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা কম, এ বিষয়ে কয়েক দিন আগে কথা বলেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজধানী ঢাকার ছেলেদের ‘আনলাকি’ বলে মন্তব্য করেন লিটল ডিনামাইট খ্যাত আশরাফুল। অনেক পাওয়া না পাওয়ার মধ্যেই নিজেকে বদলে ফেলেছেন তিনি। বদলে যাওয়া আশরাফিল কি জাতীয় দল নিয়ে ভাবছেন?
বদলে যাওয়া আশরাফুল বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে মাঠে নামবেন কয়েক দিন পরেই। এই টুর্নামেন্টে তিনি খেলছেন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর হয়ে। মাঠেই দেখা যাবে বদলে যাওয়া আশরাফুল ব্যাট হাতে কতটুক কার্যকর। এই টুর্নামেন্টের মধ্যে দিয়ে কি জাতীয় দলে কোনো আশা দেখেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক?
এমন প্রশ্নে আশরাফুলের উত্তর, ‘আমি আসলে ঐভাবে চিন্তা করছি না বাংলাদেশ দল নিয়ে। আমি এখন জাস্ট চিন্তা করছি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ নিয়ে। খুব এক্সাইটেড খেলার ব্যাপারে। লাস্ট আড়াই তিন মাস ধরে আমি আমি অনুশীলনটা করছি। যখনই একটা খেলা হবে সেখানে যেন প্রথম ম্যাচ থেকেই আমি প্রস্তুত থাকি। আর লাস্ট ৮ মাস ধরে আমি আমার ফিটনেস নিয়েও সচেতন। আগেও ছিলাম কিন্তু এতটা যে করতে পারব আমার মধ্যেও এই বিশ্বাসটা ছিল না। আমি আসলে ফোকাস করছি এই টুর্নামেন্টেই। আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আর জাতীয় দল সবারই স্বপ্ন থাকে, এটা পরের ধাপ আগে সামনে যে প্রসেস সেটা নিয়ে চিন্তা করছি।’
বাংলাদেশের ক্রিকেট মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে ঘিরেই। এখানেই আছে ইনডোরে অনুশীলন সুবিধা। আরও আছে আবাসিকভাবে থাকার সুব্যবস্থাসহ একাডেমি ভবন ও একাডেমি মাঠ। তবে মিরপুরে অগ্রাধিকার পান জাতীয় দল, এইচপিসহ (হাইপারফরমেন্স ইউনিট) জাতীয় দলের পুলে থাকা ক্রিকেটাররা। নারী জাতীয় দলেরও মূল কেন্দ্রও এটিই। তাই আশরাফুল আক্ষেপ না করে আর পারেননি।
সুযোগ সুবিধা না পাওয়া নিয়ে আশরাফুল বলেছিলেন, ‘আসলে আমরা ঢাকার যারা ছেলে, আমরা আসলে আনলাকি। আমার খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ২০ বছর আগে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে কিন্তু আমরা যারা ঢাকার ছেলে আমরা খুব আনলাকি কারণ অফ সিজনের ফ্যাসিলিটিজটা আমাদের নিজেদেরই তৈরি করতে হয়। আপনি জানেন যে আমাদের একটাই ইনডোর। সেখানে সব ন্যাশনাল টিম, এইচপি, মহিলা টিম, আন্ডার ১৯ তারাও প্র্যাক্টিস করে থাকে। যারা ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটার এবং যারা উঠতি ক্রিকেটার তাদের জন্য এই সুযোগ সুবিধাটা কম।’
তবে অনেক নেই-এর মধ্যেও নিজেকে দমিয়ে রাখেননি। কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে বদলে ফেলেছেন আমূলে। নিজের পরিবর্তন নিয়ে নিজেই উচ্ছ্বসিত, আত্মবিশ্বাসী। এতটাই পরিবর্তন এসেছে তার মধ্যে যে, তিনি নিজেই মনে করে আগে থেকে দক্ষতা বেড়েছে। হয়েছেন ফুরফুরে, ঝরঝরে। ফিটনেস টেস্টে সাকিবের ১১.৪ আসে।
কীভাবে সম্ভব হয়েছে এটা? আশরাফুল বলেন, ‘আমি এখন নিজেকে এভাবে চিন্তা করছি, আমি আসলে নতুন করে শুরু করতে চাই। আমার ফিটনেস বলেন, স্কিল বলেন, শেষ ৮-৯ মাস আগে হয়তো এটা আমি চিন্তা করিনি। এখন আমি যে পজিশনে আসতে পেরেছি। ফিটনেস লেভেল বলেন, স্কিল বলেন, সবকিছুতেই আমি অতীত ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগোতে চাই। অনুর্ধ্ব ২৩ এর ছেলেদের সাথে যে ফিটনেস লেভেল লাগবে আমি সেটা করছি। অনুর্ধ্ব ২৩ এর ছেলের যে ফিটনেস থাকে আমার যেন সেটা থাকে। এটাই আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি শেষ ৭-৮ মাস ধরে।’