গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া বহাল তলি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
সুত্রমতে জানা যায় ঈদের পরের দিন একই গ্রামের লিয়াকত মুন্সির বিজ্ররের উপার রাখা ১৩ বস্তা ধান চুরি করে নেয় প্রতিবেশি আকব্বর মোল্লার ছেলে সুজন মোল্লা (২৮) ও আকবার শেখের ছেলে আসাদুল শেখ। চুরি কৃত ধান পাশের বাহির সিমুল গ্রামে সুৃশান্ত দেঊড়ীর ঘরে নিয়ে রাখে এখবর এলাকায় জানাজানি হলে এনিয়ে এলকার মাতুব্বররা সালিশ বৈঠকের আয়োযন করে। উক্ত শালিস বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য মোক্তার শেখ ,সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার শেখ ,বর্তমান ইউপি সদস্য লায়েক শেখ ও ওমর আলি সহ এলাকার অনেকে এবং ্সুজন ও আসাদুলরে স্বিকারোক্তির ভিত্তিতে মাতুব্বররা দুজনকে চোর স্বাবসÍ করে চার লক্ষ টাকা জরিমানা করেন । চার লক্ষ টাকা জরিমানার কথা শুনে চোর সুজন মোল্লা শলিস বৈঠকে উপস্থিত লোক জনের সামনে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ।
এসময় এই দৃশ্য দেখে শালিস বৈঠকে থাকা অনেক মাতুব্বর ভয়ে পালিয়ে গেলেও কয়েকজন মিলে সুজন কে কোটালপাড়া স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে নিয়ে যায় সেখানে তিন দিন চিকিৎসা দেওয়ার পরে ও স্বস্থ্য অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় ।
এব্যাপারে চোর সুজনের পিতা আকব্বর মোল্লা ও ভাই রমজান ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন, সুজনের অবস্থা এখন ও ভালো না তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে ।
রমজান মোল্লা আরো জানান, আমার ভাইয়ের এই অবস্থার জন্য এলাকার মাতুব্বররা দায়ী।
সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার শেখ সুজনের বিষ পানের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা এলাকার অনেক লোকজন ছিলাম উপস্থিত তাদের সামনে চোর বিষ পান করলে আমি ভয়ে পালিয়ে আসি ।
সুশান্ত দেউড়ী বলেন, রাত তিনটার পরে আসাদুল আমাকে ডেকে ঘুম থেকে তুলেছে এবং আমাকে বলে তোমার ঘরে দুই বস্তা ধান রাখবো সকালে নিয়ে যাবো এই কথা শুনে আমি ঘর থেকে বের হয়ে দেখি সুজন দাড়িয়ে আছে এবং ওরা দুই বস্তা ধানের কথা বললেও ধান দেখি দশ বস্তা। এতে আমার সন্ধেহ হলে সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার ও মোক্তার শেখকে জানাই তারা এসে ধান জব্দ করে সাথে সাথে ধানের মালিককে খুজে বের করেন ।
ইউপি সদস্য লায়েক শেখ জানান, ঘটনা সত্যি তবে রুগী এখন সুস্থ আছে ।
এব্যাপারে এলাকার অনেকে জানান, সুজন মোল্লা ও আসাদুল শেখ এলাকার দাগী চোর। এলাকায় ছোট বড় চুরি হয় এগুলো এই দুজনই করে থাকে ।