দেশের মানুষের জন্য ভাবেন ডা. তাসনিম জারা

ফিচার ডেস্কঃ প্রযুক্তির উন্নয়নে সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর হয়ে পড়ছে সবকিছু। তাই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষ অনলাইনকে বানিয়েছে তাদের নির্ভরতার জায়গা। সে কারণেই অনলাইনে কেউ পড়ে- কেউ পড়ান, কেউ স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেন- কেউ সেটা গ্রহণ করেন, কেউবা বিনোদনমূলক ভিডিও বানান।

এমন একজন বাংলাদেশি প্রবাসী ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. তাসনিম জারা। যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা।

বিভিন্ন হাসপাতালে সরাসরি কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাভাষীদের জন্য চিকিৎসা বিষয়ক কন্টেন্ট নির্মাণ করেন তাসনিম। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ইতোমধ্যেই তাকে এনে দিয়েছে এমন জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশি চিকিৎসক তাসনিম জারাকে ‘ভ্যাক্সিন লুমিনারি’ হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

করোনার মহামারি থেকে শুরু করে মানুষকে সহজে ঘরে বসে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সহজ আর প্রাঞ্জল বাংলা ভাষায় তাসনিমের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে লাখো মানুষের কাছে। হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হচ্ছে তার ভিডিওগুলো দেখে। শুরুতে তিনি শুধু করোনাকেন্দ্রিক ভিডিও বানালেও বর্তমানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নারী স্বাস্থ্য, সুস্থ যৌন জীবনসহ নানা বিষয়ে ভিডিও বানাচ্ছেন। দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগে মানুষের করনীয় নিয়ে ভিডিও বানাচ্ছেন তিনি। তার ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল দিনকে দিন খ্যাতি ছড়ায়।

ডা. তাসনিম জারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এভিডেন্স-বেজড মেডিসিনে স্নাতকোত্তর করছেন। বর্তমানে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সুপারভাইজার এবং ইন্টেগ্রেটেড ফাউন্ডেশন অব মেডিকেল এডুকেশন কোর্সে কাজ করছেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছেনও তিনি। পাশাপাশি একজন পেশাদার চিকিৎসক হিসেবে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল প্যাপওয়ার্থ হাসপাতালে কাজ করেন। করোনার মহামারীর সময় সম্মুখে থেকে কাজ করেছেন তিনি।এ জন্য তিনি পেয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের ‘ভ্যাকসিন লুমিনারি’ স্বীকৃতি।

গত ৬ ডিসেম্বর দেশে এসেছেন তিনি। দেশে ফিরে তার কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে। দেশের জন্য,দেশের মানুষের জন্য নিজের ভাবনার কথা গণমাধ্যমে তুলে ধেরেন তাসনিম জারা।তাসনিম জারা বলেন, মানুষ যাতে অকার্যকর বিষয়ে সময় না কাটিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যটা পায় আমি সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। দেশের জন্যই কাজ করছি। যেখানেই থাকি, স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে যে চিন্তাটা করছি, যে চিন্তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, সেটা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে। আমার অবস্থান থেকে আমি যত ভালোভাবে সেবা দিতে পারব সেভাবেই আগাব।

স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,এখন যেহেতু মানুষের হাতেহাতে ইন্টানেট আছে,তাই যে কোনো সমস্যায় একটু খুঁজে দেখা বা একটু চিন্তা করা,কোনটা কাজে আসবে, কোনটা কাজে আসবে না তা নিয়ে একটু ভেবে দেখা এখন জরুরি।

দেশের মানুষের সুস্থ থাকার পরামর্শ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অনেক কাজে প্রতিদিন ব্যস্ত থাকি।অসুস্থ্য হলেই কেবল আমরা ডাক্তারের কাছে যাই। তবে, যখন সুস্থ থাকি তখনই চিন্তা করতে হবে কিভাবে সুস্থ থাকতে পারি। এ জন্য খাবার, ব্যায়াম, ঘুম ভালো হচ্ছে কিনা, ওজনটা ঠিক আছে কিনা এসব দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এই মনোযোগের কারণে আমরা অনেক ওষুধ থেকে দূরে থাকতে পারব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *